আপনার ভাষা নির্বাচন করুন
রোজকার জীবনের কর্মব্যস্ততা কে ফেলে পাহাড়ী নদী, জঙ্গল,বন্যপশু এসব কিছু নিয়ে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে ডুয়ার্সের সুন্তালেখোলা।নেপালী ভাষায় সুন্তালে কথার অর্থ কমলালেবু আর খোলা মানে ছোট নদী। বর্ষা কিংবা শীত বা বসন্ত যে ঋতুতেই জাননা কেন সবুজে সবুজ প্রকৃতির মাঝে ফড়িং, পাখি, প্রজাপতির সমারোহ শান্ত মায়াবি পরিবেশ মন ভরিয়ে দেবে।
নিউ জলপাইগুড়ি গুঁড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি নিয়ে সামসিং ফাঁড়ি পর্যন্ত (গাড়ি যায়) এরপর এক কিমি পায়ে হেঁটে পৌঁছানো যায়। চারদিকে সবুজ পাহাড় মাঝখানে খাদ সেই পথের নুড়িপাথরের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চললেই দেখা যাবে কাঠের ঝুলন্ত ব্রিজ। বর্ষাকালে জলে ভর্তি থাকে।অন্যসময় শান্ত প্রকৃতির নির্জনতার এক নৈসর্গিক সৃষ্টি।অজানা ফুল,পাথরের ঢিপি জলের বয়ে যাওয়া,মেঘ রোদের খেলা নির্জন সুন্তালেখোলা কে অনুভব করতে পারলে মন ভরে উঠবেই।রাতে ক্যাম্প টেন্ট এ থাকার ব্যবস্থা আছে। একটানা পাহাড়ী ঝিঁঝিঁর ডাক গাছে গাছে জোনাকির আলো।রাতচড়া পাখির ডাক সব মিলে মায়াবী আবেশ এই সুন্তালে খোলা।
প্রকৃতির এই সহজ পাঠে সামিল হয়েছে এখানকার কয়েকটা হোম স্টে।পাহাড়ি মোর গুলোতে মোমো,সুপ, ও চায়ের দোকান যার স্মেল অনবদ্য। বিকেলের পড়ন্ত রোদ এসেপরা এই সব কেবিন গুলো তে বসে নেপালি শস ভেজা গরম মোমো খাওয়ার জন্য আপনাকে আসতেই হবে প্রকৃতির এই পাঠশালা সুন্তালেখোলায়।
থাকার জন্য সুন্তালেখোলা বন উন্নয়ন নিগমের বাংলোই সেরা।কিন্তু বছরভর ভীড়ে আগে থেকে বুক করা না থাকলে সেখানে জায়গা পাওয়া অসম্ভব ।সেক্ষেত্রে রিভার ক্যাম্পে থাকা যেতে পারে।
শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে হবে ট্রেনে এবং ওখান থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে সামসিং সুন্তালেখোলা ৮৫ কিমি। নিউ মাল জংশন থেকে গাড়ি রিজার্ভ করেও যাওয়া যায় দূরত্ব ৩৫ কিমি।