কিলা রায়পুর ফেস্টিভ্যাল – পাঞ্জাব


বারো মাসে তেরো পার্বনের দেশ এই ভারত।কিন্তু এই তেরো পার্বনের যে শেষ কথায় তাঁর কোন তালিকা নেই ।এত বড় দেশ।নানান মানুষ,নানান ভাষা,নানান সংস্কৃতি।ফলে বছরভরেই চলে দেশের নানা প্রান্তে চলে নানান উৎসব।ধর্মীয় উৎসবের বাইরে হাজার হাজার লোক উৎসব হয় যার খবর রাখিনা।তেমনই এক লোক উৎসব কিলা রায়পুর উৎসব যা গ্রাম্য ওলিম্পিক নামেই পরিচিত।

নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এ হল স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল।পাঞ্জাবের জলন্ধরের কাছে কিলা রায়পুর গ্রামে বসে অন্যতম প্রাচীন এই অলিম্পিকের আসর।রাজ্যের দূর দূর গ্রাম থেকে প্রতিযোগিরা আসেন অংশ নিতে।আর আসেন দেশ বিদেশের বহু মানুষ এই উৎসবকে নিজের চোখে দেখবেন বলে।

ভারতের বৃহত্তম এই স্পোর্টস ফেস্টিভ্যালের আসর বসে কিলা রায়পুরের গ্রেওয়াল স্পোর্টস স্টেডিয়ামে । আজ থেকে আনুমানিক ৮৭ বছর আগে এই উৎসবের সূচনা।মুলত গ্রামের চাষিদের নিয়েই এই উৎসব শুরু হয়েছিল।দেখতে দেখতে আজ এই উৎসব আন্তর্জাতিক উৎসবে পরিনত হয়েছে।রসাকসি(দড়ি টানাটানি),শিখ মার্শাল আর্ট,কুস্তি,ঊট দৌড়, ষাঁড় দৌড় সহ নানা খেলা।বাড়তি পাওনা ভাঙ্গড়া ও অন্যান্য ফোক অনুষ্ঠান।।রঙীন পোশাকে পাঞ্জাবি ঢোলের তালে গোটা স্টেডিয়াম যখন নেচে ওঠে তখন শুধুই দর্শক হিসেবে নিজেকে গুটিয়ে রাখা অসম্ভব।প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার প্রতিযোগী এই ফেস্টিভ্যালে যোগ দেয়।এর বাইরে উপস্থিত থেকেন হাজার হাজার স্পোর্টস লাভার ও অগুন্তি ট্যুরিস্ট।

কোথাও যাওয়ার আগে প্রথমেই কি ভাবে যাবো আর কোথায় থাকবো তাঁর প্ল্যান করতেই হয়।শুরুতেই যাওয়ার কথা বলি।বিমানপথে গেলে নামতে হবে অমৃতসর বা চন্ডিগড়।সেখানথেকে সড়কপথে বা ট্রেনে কিলা রায়পুর পৌছনো যায়।

যদি রেলপথে আসেন তাহলে নামতে হবে জলন্ধর।সেখান থেকে লোকাল ট্রেনে বা সড়কপথে কিলা রায়পুর।

কিলা রায়পুরে না থেকে বরং ফেস্টিভ্যালের জায়গা থেকে মাত্র ১৯ কিমি দূরত্বে শহীদ ভগৎ সিং নগরে নানান বাজেটে থাকার জায়গা পাওয়া যায়। থাকা খাওয়া সেখানেই হবে।গাড়িতো সঙ্গে রাখতেই হবে ফলে সাইট সিনে দেখে নেওয়া যায় জালিয়ানওয়ালা বাগ,ওয়াঘা বর্ডার সহ অনেক কিছু ।

শেয়ার করুন
Brush

আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ