আপনার ভাষা নির্বাচন করুন
দ্রিমি দ্রিমি বাজনা বাজছে চারিাদিকে।সাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বর্শা হাতে একদল আদিবাসী ।যেন এখুনি তারা শিকারে বেরিয়ে পড়বে । পরনে তাঁদের নিজস্ব গোষ্ঠীর পোশাক। মাথায় পালক গোঁজা।এরকম নানা রকমের সাজে এক একটা দল।প্রত্যেকেরই পরনে ট্রাডিশনাল পোশাক ।চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা ।মাঝখানে এক প্রাকৃতিক মঞ্চ ।ছোট্ট জনপদ নাম কিসিমা। নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা থেকে মাত্র ১২ কিমি দুরত্ব।বর্নাঢ্য উৎসব হর্নবিল ফেস্টিভ্যাল।মুলত নাগাদের অনেকেরই টোটেম হল এই হর্নবিল।ফলে নাগাদের লোকসংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে এই পাখীর নামেই ফেস্টিভ্যালের নামকরন ।
প্রতি বছর পয়লা ডিসেম্বর থেকে দশই ডিসেম্বর পর্যন্ত এই উৎসব চলে।যদিও এক নির্দিস্ট জায়গায় এই ফেস্টিভ্যাল হয় কিন্তু পুরো নাগাল্যান্ড যেন সেজে ওঠে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে।এত কালারফুল উৎসব খুব কমই দেখা যায় ।মুলত আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে উৎসাহ দিতে রাজ্য ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট প্রতিবছর এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে।বিভিন্ন উপজাতিরা গান নাচের মাধ্যমে তাঁদের সংস্কৃতি এখানে তুলে ধরে।দেশের মানুষ ত বটেই বিদেশিরাও ভিড় করেন কারন এই ফেস্টিভ্যাল ফোটোগ্রাফারদের কাছে প্যারাডাইজ। এক লাইফটাইম অভিজ্ঞতা।
তবে এই ফেস্টিভ্যালে আসতে হলে কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে।ভিনরাজ্যের ট্যুরিস্ট হলে অবশ্যই নাগাল্যান্ডে আসার জন্য ইনার লাইন পারমিট নিতে হবে।সেটা ওখানে পৌছে গিয়েও সংগ্রহ করা যায় কিন্তু ফেস্টিভ্যালের ভিড় এড়াতে হলে আগে থেকেই নাগাল্যান্ড ট্যুরিসম এ যোগাযোগ করে সংগ্রহ করাই ভাল।বিদেশীদের ক্ষেত্রে পৌঁছনোর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই ফরেনারস রেজিস্ট্রেশন অফিসে রেজিস্টার করাতে হয়।ইভেন্টে প্রবেশমুল্য দিনপ্রতি ২০-৩০ টাকা ।ফেস্টিভ্যালের সময় বেশ ভীড় হয় তাই আগে থেকেই হোটেল বুক করে রাখা ভাল।এমনিতেই কোহিমাতে থাকা খাওয়ার খরচা একটু বেশী।ফেস্টিভ্যালের সময় তা আরও একটু বেড়ে যায়।ফলে সে প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন।
কিভাবে আসবেন –
বিমানপথে এলে নামতে হবে ডিমাপুরে কারন কোহিমা তে কোন এয়ারপোর্ট নেই।সেক্ষেত্রে ডিমাপুর থেকে গাড়ি ভাড়া করে কোহিমা পৌঁছতে হবে।ডিমাপুর থেকে মোটামুটি ঘণ্টা দুই আড়াই লাগে।
রেলপথে এলেও আসতে হবে ডিমাপুর ভায়া গুয়াহাটি ।সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে কোহিমা।
শিলং ও গুয়াহাটি থেকেও সড়ক পথেও সরাসরি কোহিমা যাওয়া যায়।