আপনার ভাষা নির্বাচন করুন
চারিদিকে শুধুই সাদা আর সাদা ।এখানে পাহাড়ের রং সাদা । যে দিকেই চাওয়া যায় সেদিকেই শুধু বরফ । লেহ থেকে দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিমি।সাদা পাহাড়ের মাঝে রঙিন এক মন্দির ।না মন্দির নয় এক প্রাচীন বৌদ্ধ মনাস্ট্রি ।রঙিন চর্তেন ঊড়ছে চারিদিকে।প্রাচীন পুথিপত্রেও উল্লেখ আছে এই মনাস্ট্রির।এই মনাস্ট্রি নতুন করে আবার তৈরি করেন রাজা নামগিয়াল।
প্রতি বছর ভগবান পদ্মসম্ভবকে স্মরণ করেই এই পাহাড়কোলে বসে উৎসবের আসর।জুন জুলাই মাসে সাধারনত এই উৎসব হয়ে থাকে।এই উৎসবের প্রধান আকর্ষন মুখোস নাচ।লামারা নানান মুখোসে সজ্জিত হয়ে গুম্ফার চাতালে সমবেত হন।শুরু হয় পবিত্র ছাম নাচ বা মুখোস নাচ।সাদা পাহাড়ের মাঝে যেন মনে হয় আগুন লেগেছে। রঙবেরঙের পোশাক পড়ে অদ্ভুত এক তালে তালে ওরা নাচেন। দুদিনের এই উৎসব শুরু হয় প্রার্থনা সঙ্গীত দিয়ে ।
সারাদিন ধরে চলে নানান কার্যক্রম ।স্থানীয় মানুষ নানান হস্তশিল্পের পসরা সাজিয়ে বসেন যা স্যুভেনির হিসেবে সংগ্রহ করার পক্ষে আদর্শ। ফেস্টিভাল চলাকালিন চ্যাং পরিবেশন করাও এখানকার রীতি ।চ্যাং লোকাল পানীয় ।
টিবেটান বৌদ্ধদের এমন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান ভারতে আর কোথাও হয় বলে জানা নেই।বহু দূর দূর থেকে টুরিস্টরা আসেন এই বিশেষ উৎসবের সাক্ষী হতে ।কাছাকাছি অনেক ভালো হোটেল আছে থাকার জন্য।ইদানীং হোমস্টের ব্যাবস্থাও হয়েছে। তবে আগে থেকে বুক করা না থাকলে থাকার খরচা আকাশছোয়া হতে পারে ।
হেমিস দর্শন এক লাইফটাইম এচিভমেন্ট।