কেঁচকি


দোল মানেই পলাশের দেশে যাওয়ার একটা চাহিদা সকলের মনেই বাসা করে।।তাই প্রতি বছর ই গরীবের আরাকু ঝাড়খন্ডে পালানোর একটা প্ল্যান থাকেই।।ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা ট্যুরিজম এতটাই পিছিয়ে যে এত সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।।সমগ্র ছোটনাগপুরের ল্যান্ডস্কেপকে কাজে লাগাতে পারলে এই সিকিম – উত্তর বাংলার মেজাজ কমানো যেত।।

কেঁচকি যাওয়ার আদর্শ ট্রেন হল শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস।। দুপুরে ডাল ভাত খেয়ে ট্রেনে বিকেল টা কাটিয়ে একটা ছোট্ট ঘুম দিতেই রাত আড়াইটে নাগাদ ডাল্টনগঞ্জ চলে আসে।।আবার অনেকবার হয়েছে রাচি হাতিয়া ধরে রাঁচি তে সকালে নেমে গাড়িতে প্রায় চার ঘন্টা চলে গেছি কেঁচকি।।কেঁচকি তে থাকার একমাত্র ব্যবস্থা CESC র গেস্ট হাউজ।।কোয়েল নদীর ধারে অসাধারণ এক থাকার জায়গা।।নিজেদের রান্না করে খেতে হয়।।সামনের দোকানে সব ই প্রায় পাওয়া যায় তবে মাংস বা সুরা র জন্য আগে থেকে প্ল্যান করে রাখা উচিৎ।। থাকার ব্যবস্থা কিন্তু ভীষণ ভীষণ ভাবে বেসিক।।ফলে ফ্যামিলি নিয়ে থাকলে একটু সমস্যা হতে পারে।।ফলে এর জন্য বেতলা তে থাকাই সমীচীন।। কিন্তু বেতলা তে থাকলে কোয়েলের ওই সান্নিধ্যলাভ থেকে বঞ্চিত হবেন।।

কেঁচকি তে থাকলে যার কথা না বললে অসমাপ্ত থেকে যায় তথ্য সে হল ড্রাইভার বীরবল।। সদা্হাস্যময় বীরবল এই কেঁচকি র প্রধান ইউ এস পি।।রাত আড়াইটে হোক বা দশ টা বীরবল গাড়ি নিয়ে হাজির।।প্রতি ট্রিপেই কোথাও না কোথাও নতুনের সন্ধান দেবেই।।এবার ঘুরে এলাম “মন্ডল”।। কেঁচকি বা বেতলা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা দূরে প্রকৃতি র স্বর্গ রাজ্য মন্ডল।।পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা কোয়েল যেন মনে দোলা দিয়ে যায়।ঘুরে এসে ড্যামের অন্য প্রান্তে পৌছে গেলাম পাথুরে নদী উপত্যকায়।। বড় বড় বোল্ডার এর কোল বেয়ে কোয়েলের বয়ে চলা অনেকটা অক্সিজেন দিয়ে গেল।।

এছাড়াও আপনি সারা দিনের ট্রিপে ঘুরে আসতে পারেন লোধা ফলস।।তবে যেখানেই যান বিকেল চারটের মধ্যে ফিরে আসতে পারবেন এভাবেই প্ল্যান করুন।।গাড়ি ভাড়া পড়ে ২০০০-৩০০০ টাকা মত।।

CESC র গেস্ট হাউজ বুক করতে এমপ্লয়ি পরিচিত থাকা দরকার।।মোট তিনটে ঘর।। এবং প্রায় ১২ জন মত থাকা যায় ভালভাবে।।তবে ফ্যামিলি নিয়ে গেলে বেতলা তে থাকাই উচিত।।

-সঞ্জয় গোস্বামী-

শেয়ার করুন
Brush

আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ