আপনার ভাষা নির্বাচন করুন
যারা একটু নির্জনতা পছন্দ করেন,যারা একান্ত নিজেদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হাঁটতে চান শান্ত সমুদ্রের বেলভূমি ধরে,চান লাল কাঁকড়াদের সাথে খুনসুটি করতে করতে সমুদ্র স্নান। তাদের জন্য আইডিয়াল ডেস্টিনেশন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমায় ঝাউ,সোনাঝুরি জঙ্গলে ঘেরা নিরালা সৈকত “বগুড়ান”।
বস্তুত এটি ধীবরদের গ্রাম যেখানে শান্ত জনহীন নিরালা বেলাভূমি জুড়ে গোলাপের পাপড়ির মত লাল কাঁকড়া খেলেবেড়ায়।সৈকত জুড়ে ছড়িয়ে থাকে অসংখ্য ঝিনুক আর রঙ-বেরঙের গুগলী। দাঁড়িয়ে থাকে ছবির মত জেলে নৌকা ও ট্রলার। যেখানে উত্তাল সমুদ্রের রুদ্র রূপ নেই আছে শান্ত সমুদ্রের সাথে আছে শীতল নোনা বাতাসের প্রলেপ।
এখানে স্নান করা একদম নিরাপদ।এটি আদতে একটি ধীবর গ্রাম যারা সারাবছর মাঝ সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যায়। বগুড়ান থেকে বাঁদিকে ৪কিমি দূরে জুনপুট আর ডানদিকে ২ কিমি গেলে ভান্ডারা খাল। নৌকায় খাল পেড়িয়ে সৈকত বরাবার গেলে পড়বে কাঁথি খাল ওটাকেই বলে সৌলার সৈকত।আরো পশ্চিমে গেলে পড়বে পিছাবনী নদী যেগুলো দেখতে দেখতে আপনার সারাদিন ও কোথাদিয়ে চলে যাবে বুঝতেই পারবেনা। বগুড়ান থেকে টোটো বা অটো ভাড়া করে চলে যেতে পারেন মৎস বন্দর জুনপুট এবং বাঁকিপুট রাস্তার ধারে পড়বে অসংখ্য মাছের ভেড়ি।আর সাগারের বিস্তৃত সীমানা দেখতে দেখতে মন ভরে যাবে।
সাথেই দেখেনিতে পারেন দারিয়াপুরে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দিরটি। বহুল ঘটনা চর্চিত ইতিহাস প্রসিদ্ধ এই মন্দিরটি সাহিত্যের পাশাপাশি সিনেমাতেও দেখানো হয়েছে।তবে এখন নতুন করে সংস্কার হয়েছে।এরপরেই দেখেনিন দারিয়াপুর লাইট হাউস ও হিজরি নদীর ধারে পেটুয়া ঘাট মৎস্য বন্দর।
এই সব নিয়ে পর্যটকদের নজরে না আসা এই শান্ত নির্জন বেলাভূমিটি আপনার একান্ত আপন হয়ে উঠতেই পারে কোনো পূর্ণিমার রাতে বালি চিকচিক করা সৈকত ধরে হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে যেতে পারেন অজানা গন্তব্যে।
হাওড়া থেকে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস,কান্ডারী এক্সপ্রেস,(শনিবার)এসি সুপার ফাষ্ট এক্সপ্রেস কাঁথি ষ্টেশন নামতে হবে।
এছাড়াও ধর্মতলা থেকে বাস আছে কাঁথি সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাল যাবার ।ওখানে নেমে টোটো ,অটো এবং রিজার্ভ গাড়ি আছে বগুড়ান আসতে হবে।