আপনার ভাষা নির্বাচন করুন
আদিগন্ত বিস্তৃত কালো মেঘে পাগল করা আকাশকে সামনে রেখে, বিস্তীর্ণ বালির তটের উপর দিয়ে হাঁটতে হাটতে সমুদ্রের উচ্ছল তরঙ্গের সাথে একাত্ম হবার নির্জন স্বেচ্ছা নির্বাসন নেওয়ার উপযুক্ত জায়গা হল তাজপুর।প্রশ্ন জাগতে পারে স্বেচ্ছা নির্বাসন কেন বললাম? আসলে এখানে বিপুল মানুষের ভীড় থাকেনা।তাই নিজের মত করে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ঝাউবন,কেয়া, ইউক্যালিপটাস,কাজুর বনে হারিয়ে যাবার অখন্ড অবসর। বৃষ্টির ধারা দুহাতে মেখে ঝাউ,কেয়া গাছের ফাঁক দিয়ে নীল অতল সমুদ্রের আহ্বানে আপনি নিজেকে সমর্পন করতে বাধ্য। এক নির্জন তটভূমিতে সমুদ্র স্নান অন্য রকমের রোমাঞ্চ।এখানে ঢেউএর ঊদ্দামতা অনুপস্থিত।জল এখানে গোড়ালি ছুঁয়ে যায়।জোয়ারে যখন জল বাড়ে তখনই স্নানের উপযুক্ত সময়। খরচ
বেলাভূমি জুড়ে ঝিনুকের মেখলা সাজিয়ে সারি দিয়ে দাড়ানো জেলে নৌকা গুলো যেন জল রংএ আঁকা ছবি।বেলভূমি জুড়ে লাল গোলাপের পাপড়ির মত ছড়িয়ে থাকা কাঁকড়ার দের সাথে করতেই পারেন খুনসুটি।জেলেদের থেকে কিনে বা হোটেলে অর্ডার দিয়ে ইলিশ, কাঁকড়া, চিংড়ি,পমফ্রেট এর মত সি ফুড দিয়ে লাঞ্চ বা সন্ধ্যার চা টা সারতেই পারেন।
মন্দারমণি ও তাজপুরের মাঝে জলদা নদীর মোহনা। নৌকা করে এপার ওপার যাওয়া যায়। তাজপুর থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্ব চাঁদপুর। বানানো পাড়ে বসে সমুদ্রের নোনা ঘ্রাণ নিতে পারেন। জলের ছিটে চোখে মুখে লেগে একটা অন্য রিফ্রেশমেন্ট ।বৃষ্টির দিনে গেলে বৃষ্টি থামলে হঠাৎ সমুদ্র সূর্যোদয় কিংবা পূর্নিমায় গেলে রূপলী জোছনায় বেলাভূমি ধরে দুজনে হাঁটতে হাঁটতে গাইতেই পারেন -আরো দূরে চলো যাই …
কলকাতা থেকে দীঘা যাবার প্রচুর বাস আছে এসে গাড়িতে বালিসাই পৌঁছে সেখান থেকে তাজপুর ৫ কিমি।
হাওড়া থেকে কান্ডারী বা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস দীঘায় আগের স্টেশন রামনগর নেমে ছোটগাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়, বালিসাই এসে ওখান থেকে টোটো ,ভ্যানে তাজপুর।
কোথায় থাকবেন-
তাজপুর প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র।
www.wbfdc.com
এছাড়া অনেক হোটেল ও রিসট আছে।